শিশুকে চোখের সমস্যা থেকে রক্ষায় করনীয় যা কিছু
সন্তান নিজের চোখে এই সুন্দর পৃথিবী দেখবে, নিজের মতো করে তার চারপাশের পরিবেশ বুঝে নেবে আর সাজিয়ে নেবে নিজের সুন্দর পৃথিবীকে এমন আশা করাটা বাবা-মায়ের জন্য খুব একটা বেশি কিছু চাওয়া নয়। কিন্তু এই একটুখানি চাওয়াই ফিকে হয়ে যেতে পারে যখন বাবা-মা দেখেন তাঁর আদরের সোনামণির চোখে সমস্যা দেখা দিচ্ছে কিংবা সে ঠিকমতো দেখতে পারছে না। তাই ছোটবেলা থেকেই বিশেষত জন্মের পরপরই এই বিষয়ে সচেতন হতে হবে।
১। শিশুর জন্মের পরপর তাঁর চেকআপের সময় চোখের কোন সমস্যা আছে কিনা তা দেখিয়ে নিন। বিশেষ করে প্রিম্যাচিউর বেবিদের এই সমস্যা থাকার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
২। কোন সমস্যা না থাকলেও সাড়ে তিন বছর বয়সে শিশুদের একবার চোখ পরীক্ষা করে নেওয়া উচিৎ। এবং এইরকমভাবে পাঁচ বছর বয়সেও শিশুর চোখ পরীক্ষা করিয়ে নিতে হবে।
৩। শিশুরকে যদি চিকিৎসকেরা চশমা দিয়ে থাকেন তবে বছরে অন্তত একবার পরীক্ষা করিয়ে নিয়ে দেখতে হবে শিশুর পাওয়ারে কোন রকমের পরিবর্তন এসেছে কি না।
৪। বারবার চোখ থেকে পানি বের হওয়া, চোখ কচলানো, লাইটিং এর পরিবর্তনে দেখতে সমস্যা হওয়া এসব লক্ষণ দেখা দিলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
৫। বাবা-মায়ের চোখের সমস্যা থাকলে জীনগতভাবেও শিশুর চোখের সমস্যা থাকতে পারে। তাই এই বিষয়ে সচেতন হোন।
৬। দুই বছরের কমবয়সী শিশুদের জন্য প্লাস্টিকের ফ্রেম ব্যবহার করাই সবচেয়ে ভালো হবে।
৭। অনেক শিশুরাই একটু বড় হলে কনটাক্ট লেন্স ব্যবহার করতে চায়। এক্ষেত্রে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে শিশুরা যাতে কনটাক্ট লেন্স এর ব্যবহারবিধি খুব ভালোভাবে জানে এবং সেই অনুযায়ী ব্যবহার করে। তবে দশ বছরের কমবয়সী শিশুদের জন্য এটি মোটেই উপযোগী নয়।