দুই সন্তানের মাঝে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলার সাতটি উপায়
শিশু মাত্রই আদর-ভালোবাসা প্রিয় হয়। তারা তাদের পছন্দের কিছুতেই কাউকে ভাগ বসাতে দেবে না এটা নিতান্তই স্বাভাবিক। কিন্তু বিপত্তি বাঁধে তখনি, যখন একটি শিশু দেখে তার বাবা মা’র আদর ভালোবাসা ভাগ করে নিতে পৃথিবীতে এসেছে আরেকজন যাকে তার বাবা মা ঠিক তার মতোই ভালোবাসছে এবং সেই ছোট্ট শিশুটি ঘরের আরেকজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হয়ে উঠছে। এইসব ক্ষেত্রে বাবা মায়ের প্রথম থেকেই লক্ষ্য রাখা উচিৎ এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া উচিৎ যাতে কখনোই বড় শিশুটির মাঝে রাগ বা হিংসার জন্ম না নিতে পারে। জেনে নিন এ বিষয়ে সাতটি উপায় যার মাধ্যমে আপনি আপনার দুই সন্তানের মাঝে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারবেনঃ
- আপনার সন্তানের সাথে গল্প করুন কি করে আপনি আপনার ভাই-বোনের সাথে মজা করে সময় কাটাতেন। এভাবে গল্প শোনার মাধ্যমে আপনার সন্তানও তার ছোট ভাই-বোনের ব্যপারে উৎসাহী হয়ে উঠবে।
- আপনার বড় সন্তানকে ছোট সন্তানের যত্নআত্তির দায়িত্ব দিন। এতে তার দায়িত্বজ্ঞান বাড়ার সাথে সাথে সে তার ছোট ভাই-বোনের ব্যপারে যত্নশীল হবে। আর এভাবেই তাদের মাঝে একটি বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠবে।
- ছোট সন্তানের জন্মের পর বড় সন্তানকে তার সাথে বেশ কিছুটা সময় কাটাতে দিন। কখনো তাকে এই ব্যপারে বাঁধা দেবেন না। এতে সে ছোট ভাই-বোনের প্রতি অনুৎসাহিত হয়ে পড়তে পারে।
- ছোট সন্তানের সব কাজ নিজে না করে অপর সন্তানকে তার সাধ্যমত কিছু কাজ দিন যেমন খাবার এগিয়ে দেওয়া, পানি খাওয়ানো ইত্যাদি। এতে সে খুশিমনে কাজ করবে আর ছোট সদস্যটির মনেও তার বড় ভাই বা বোন সম্পর্কে ধারনা জন্ম নেবে।
- ছোট ভাই-বোন কে কোন কাজে সাহায্য করার জন্য কিংবা আদর যত্ন করে আপনার সন্তানকে উৎসাহিত করুন। আপনার এই সাধুবাদ তাদের ভবিষ্যতে এমন কাজ আরো বেশি করে করতে সহায়তা করবে।
- আপনার সন্তানকে ভাগাভাগির আনন্দ সম্পর্কে নানান গল্প শোনান, তাদের বুঝিয়ে বলুন যেকোন কিছুই ভাগাভাগি করে নিলে আনন্দের মাত্রা আরো বেড়ে যায়।
- বড় সন্তানকে মাঝে মাঝে ছোট সন্তানের বিভিন্ন দায়িত্ব নিতে দিন। বিভিন্নভাবে তাদের দুজনকে একসাথে থাকার সুযোগ দিন। এতে তাদের মাঝে দায়িত্বশীলতা, বন্ধুত্ব, মায়া-মমতা বহুগুনে বৃদ্ধি পাবে।