যেসব বিষয় সন্তানকে নিজের হাতেই করতে দেওয়া উচিৎ
সন্তানকে ভালোবাসা আর নিজের মতো করে বড় হতে দেওয়ার ব্যাপারটি অনেক বাবা-মা গুলিয়ে ফেলেন। তাকে ভালোবাসা আর তাকে নিজের কাজগুলো বুঝিয়ে দেওয়া, নিজের কাজ নিজে করতে দেওয়া যে এক বিষয় নয় সেটা অনেকেই বুঝতে চান না। ফলে অতিরিক্ত আদর দিতে গিয়ে সন্তানকে নিজের ব্যাপারে স্বাবলম্বী করানোটা অনেকের ক্ষেত্রেই হয়ে উঠে না। ব্যাপারটি বেশ গুরুত্বের সাথে চিন্তা করা উচিৎ কারণ এই বয়স থেকে যদি শিশুকে আত্ননির্ভরশীল হতে না শেখানো হয়, তবে অন্যের প্রতি নির্ভরতাটি আপনার সন্তানের থেকেই যাবে। এখানে তাকে একেবারে ছেড়ে দেওয়ার কথা কিন্তু বলাহচ্ছেনা, বলা হচ্ছে তাকে নিজে মতো করে গড়ে উঠতে বন্ধু হিসেবে আপনি কি সহযোগীতা করতে পারেন তাঁর কথা। কি করে তা করতে পারেন? শুরু করুন সাধারণ কিছু কাজ থেকেই।
১। শুরুটা করতে পারেন খাবার খাইয়ে দেওয়া থেকেই। আপনি আপনার সন্তানকে সপ্তাহে কিংবা যখন খুশি নিজ হাতে খাইয়ে দিতেই পারেন। তবে এটি যাতে কোনভাবেই অভ্যাসে পরিণত না হয় সেদিকে খেয়াল রাখলেই ভালো হবে। দুই বছর বয়স থেকেই শিশুকে একটু একটু করে এই অভ্যাসে অভ্যস্ত করে তুলুন। সে হয়তো প্রথম প্রথম খাবার নষ্ট করবে,কিন্তু সাথে থেকে তাকে আদর করে বুঝিয়ে খাইয়ে দিন এবং এক্ষেত্রে পরিবারের সদস্যদের একসাথে খাওয়া সাহায্য করতে পারে।
২। সন্তান আরেকটু বড় হলে তাকে নিজের কাপড়, খেলনা এসব গুছিয়ে রাখতে দিন। প্রথম প্রথম দেখিয়ে দিন, এবং এরপর থেকে সন্তানের সাহায্য চান এসব কাজের ব্যাপারে। এতে সে ধীরে ধীরে অভ্যস্ত হয়ে পড়বে এই কাজে।
৩। চার-পাঁচ বছর বয়স থেকে শিশুকে নিজের পরিচয় নিজেকেই দিতে শিক্ষা দিন। এতে করে তাঁর নিজের প্রতি আত্নবিশ্বাস বাড়বে বহুগুণে আর সে নিজেই বিভিন্ন পরিবেশে খাপ খাইয়ে নিতে পারবে।
৪। আপনার সন্তান যেন কাউকে আদেশ করে নয়, নিজের কাজটি নিজেই করে নিতে পারে সেই অভ্যাস করুন এখন থেকেই। সে পানি খাবে, তাকে বলুন নিজে খেয়ে নিতে। এইজন্য যাতে গৃহকর্মী কিংবা অন্য কারো সাহায্য সে না নেয়।
সর্বোপরি, সন্তানকে শারীরিক ও মানসিকভাবে আত্নপ্রত্যয়ী করে তোলার জন্য এই কাজগুলো আপনাকে সাহায্য করবে বলেই আমাদের প্রত্যাশা।