ইবোলা সম্পর্কে গর্ভবতী মায়েদের জেনে রাখার মতো চারটি বিষয়
পুরো বিশ্বের নজর এখন প্রাণঘাতি ইবোলার দিকে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই প্রাণঘাতী রোগ বহু মানুষের মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আতংকে আছে আরো বহু মানুষ। এছাড়া এই রোগ খুব দ্রুত ছড়ায় বলে যে কোন সময় যে কেউ আক্রান্ত ব্যাক্তির সংস্পর্শে এসে এই রোগ ধারণ করতে পারে। যদিও স্বস্তির বিষয় হলো বাংলাদেশ এবং তার আশেপাশের দেশে এখন পর্যন্ত ইবোলার অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। তবে সাবধানের মার নেই। এই কারনেই বাংলাদেশেও নেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। তাই আজ রয়েছে এই প্রানঘাতী ইবোলা সম্পর্কিত বিষয়ে গর্ভবতী মায়েদের নজর রাখার মতো চারটি ব্যাপার।
১। হাসপাতালে নিজের স্বাস্থ্য এবং চিকিৎসার ব্যাপারে সর্বোচ্চ সচেতনতা অবলম্বন করুন। হাসপাতালে কি উপায়ে ডেলিভারি হবে এবং তা কতটা জীবাণুর সংক্রমণমুক্ত এবং সাবাধানতা সম্পন্ন হবে সে বিষয়ে আগেথেকেই ধারণা নিয়ে রাখুন। কোন রকম ইনফেকশন যাতে কোন উপায়ে শরীরে প্রবেশ না করতে পারে তা নিয়ে কোন কম্প্রোমাইজ চলবে না।
২। শিশুর জন্মের পরেও এ বিষয়ে মা এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের থাকতে হবে বেশ ভালো নজর। শিশুকে যত বেশি মায়ের সাথে রাখা যায় ততই ভালো। এছাড়া নার্স এবং অন্যান্য মানুষা যারা রোগী দেখতে আসে তাদের কোলে শিশুকে দেওয়ার আগে বুঝে নিতে হবে যে শিশু তাঁদের কাছ থেকে যাতে কোন ইনফেকশনের সংক্রমণ না পায়। প্রয়োজন হলে হাত ধুয়ে নিতে বলুন এবং গ্লাভস ব্যবহারে উৎসাহ দিন।
৩। ইবোলার লক্ষণগুলো সম্পর্কে ভালোভাবে ধারণা রাখুন এবং এসব লক্ষণ দেখা দিলেই দেরী না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নিশ্চিত হোন।
এর লক্ষণগুলো হলোঃ
- ১০১.৫ ডিগ্রীর বেশি জ্বর থাকা।
- অতিরিক্ত মাথা ব্যাথা হওয়া।
- ডায়রিয়া এবং শারীরিক দুর্বলতা।
- অনবরত বমি হওয়া।
- পেটে ব্যাথা হওয়া।
- কোন কারণ ছাড়াই শরীরে রক্তপাত হওয়া।
৪। যাদের কাছে এসব লক্ষণ দেখা যায় শিশুদের এবং মায়েদের তাঁদের সংস্পর্শে নিশ্চিত না হয়ে না আসাই ভালো।