কিভাবে সামলাবেন সন্তানের অবুঝ বায়না
শিশুরা নতুন কোন জিনিস দেখলেই হল, তার সেটা চাই ই চাই। শিশু অহেতুক বায়না ধরবে এটাই স্বাভাবিক। আর শিশুরা রাগের বা জিদের বহিঃপ্রকাশ ঘটায় হাতের কাছে যা পায় তাই ছোড়াছুড়ি করে। শিশুরা বুঝতে পারে,ভাংচুর করলে বা জিদ করলে তার চাওয়া সহজেই পূরণ হবে। তাই সে এ ধরনের আচরণ ক্রমাগত করতেই থাকে। শিশুদের এই জিদ বা বায়না করা খুবই সাধারণ বিষয়। তবে তা মাত্রা ছাড়িয়ে যাবার আগেই মা-বাবাকে সচেতন হতে হবে এ বিষয়ে।
সন্তান অনেক আদরের তাই তার সব ইচ্ছা পূরণ করাই যায়- এই মনোভাবই শিশুর অহেতুক জিদের বা বায়নার প্রধান নিয়ামক। আবার ক্ষতিকর,খুব বেশি আদরও যেমন ক্ষতিকর হয়ে উঠতে পারে তেমনি বেশি শাসনও ভালো নয়। সব কিছু চাইলেই যদি পেয়ে যায়,তাহলে শিশুর চাহিদা আস্তে আস্তে সীমা ছাড়িয়ে যাবে। তখন স্বভাবতই চাহিদা পূরণ না হলে সে জিদ করবে,চিৎকার করবে, ভাংচুর করবে। শিশুরা অনুকরণপ্রিয়। পরিবারের সদস্যদের আচরণ শিশুর মধ্যে অনেক বড় প্রভাব বিস্তার করে। মা-বাবার মনকষাকষি বা পরিবারের অন্য সদস্যরা নিজেদের মধ্যে ভাংচুর করলে বা ঝগড়া করলে শিশু তা দেখে শিখে ফেলে। তাদের মধ্যেও ধারণা জন্মে যায় যে, রাগ হলে জিনিস ভাংচুর করতে হয় বা চিত্কার-চেঁচামেচি করতে হয়।
সন্তানেরা চায় মা-বাবা তাদের আদর করুক, তাদের দিকে মনোযোগ দিক। মা যদি চাকরিজীবি হয় এবং শিশু যদি বেড়ে উঠে অন্যের কাছে তাহলে সে জেদি হয়। শিশুকে সঠিক আচরণ মা-বাবা যত সুন্দর করে শেখাতে পারে অন্য কেউ ই তা এতো নিপুন ভাবে পারেনা। সন্তানের বয়স যখন দুই বছর তখন থেকেই শিশুকে কোনটা ভালো আর কোনটা খারাপ,তা বোঝাতে চেষ্টা করুন। কোন কিছু দেখলেই যে চাইতে হয় না কিংবা খাবার বা খেলনা নিয়ে বায়না ধরতে হয় না- এই শিক্ষা মা-বাবাকেই দিতে হবে। আর এই বয়সে শিশুরা গভীড় ভাবে চিন্তা করতে পারে না তাই স্বভাবতই বায়না ধরে। তাদের ছোটখাটো আবদার গুলো শুনুন। বাকি গুলো পরে এনে দেব বলে আপাতত শান্ত করুন। সন্তানের বায়না যদি পূরণ করা সম্ভব না হয় তবে তার মনোযোগ অন্যদিকে নিতে চেষ্টা করুন। গল্পচ্ছলে বোঝান অন্য শিশুদের উদাহরণ দিন। তাকে বলুন,অমুক কত ভালো,সে মা-বাবার সব কথা শোনে। গল্প শুনিয়ে হাসিমুখে সমস্যা বোঝানোর চেষ্টা করুন। তাকে এটাও বোঝান যে কেন তার বায়না পূরণ করা সম্ভব নয়।