সোনামণির দাঁতের যত্ন নিয়ে কিছু কথা
ছোট্ট সোনামণির ঝকঝকে সুন্দর দাঁতের হাসি দেখতে কে ভালোবাসেনা? শুধু দাঁত নয়, শিশুর মুখের ভেতরের বিভিন্ন অংশের যত্ন নেওয়াটা শিশুর জন্য অত্যন্ত প্রয়োজন। কি করে দাঁত ও দাঁতের চারপাশের বিভিন্ন অংশের যত্ন নেওয়া যায় এ বিষয়ে বিভিন্ন কথা জেনে নিন আজঃ
শিশুর দাঁতের যত্নঃ
• শিশুর জন্য নরম, ছোট এবং দেখতে আকর্ষণীয় টুথব্রাশ ব্যবহার করুন। এবং খুব কম পরিমাণের টুথপেস্ট ব্যবহার করুন।
• শিশুর বয়স দুই বছর হওয়ার আগ পর্যন্ত শিশু বান্ধব টুথপেস্ট ব্যবহার করুন। টুথপেস্ট কেনার আগে নিশ্চিত হোন যে এই টুথপেস্ট আপনার সন্তানের দাঁত ও মাড়ির কোন ক্ষতি করবেনা। এবং শিশুদের ক্ষেত্রে টুথপেস্ট ব্যবহারের নির্দেশনা সম্পূর্ণরুপে মেনে চলুন।
• সকাল এবং রাতে খাবার খাওয়ার পর এই দুই সময় শিশুর ব্রাশ করার অভ্যাস ছোটবেলা থেকেই গড়ে তুলুন। এবং দাঁত পরিষ্কারের সাথে সাথে জিহ্বা পরিষ্কার করাতেও শিশুকে উৎসাহিত করুন। এবং এরপর কি করে ভালোভাবে কুলকুচা করে মুখ পরিষ্কার করতে হয় সেটিও ভালোভাবে শিখিয়ে দিন।
• টুথব্রাশ শক্ত হয়ে গেলে কিংবা নষ্ট হয়ে গেছে মনে হলেই সাথে সাথে তা পরিবর্তন করুন।
কখন শিশুকে নিজেএ দাঁত নিজে নিজে ব্রাশ করতে দেবেন?
যদি শিশু নিজে থেকে ব্রাশ করতে চায় কিংবা যদি বাবা মা মনে করেন যে তাঁদের সন্তান এখন নিজে থেকেই ব্রাশ করতে পারবে তখন শিশুকে নিজে থেকেই ব্রাশ করতে দেওয়া উচিৎ এবং পরীক্ষা করা উচিৎ সে ভালোভাবে নিজের দাঁত ব্রাশ করতে পারছে কিনা।
এছাড়া নিজে নিজের দাঁত ভালোভাবে ব্রাশ করুন। এতে করে শিশু আপনার কাছ থেকে দেখে ব্রাশ করতে শিখতে পারবে। এছাড়া কোন জায়গা শিশু ভালোমতো পরিষ্কার করতে না পারলে তাকে ধৈর্য ধরে শিখিয়ে দিন, দেখিয়ে দিন।
শিশু যদি কখন দাঁত ব্রাশ করতে না চায় তবে এমন টুথব্রাশ আপনার সন্তানের জন্য বাছাই করুন যাতে তার পছন্দের কোন কার্টুন বা ছবি আঁকা থাকে। এতে করে সে ব্রাশ করতে উৎসাহিত হতে পারে। এছাড়া শিশুর জন্য তার পছন্দের কিছু রঙ বা চরিত্র সম্বলিত কয়েকটি টুথব্রাশ রাখতে পারেন যাতে শিশু যখন যেই ব্রাশ খুশি তাতেই ব্রাশ করতে পারেন।
এছাড়া শিশুর দাঁতের যত্ন যাতে আরো ভালোভাবে নিতে পারেন সেজন্য অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবার যাতে শিশু পরিহার করে সেদিকে খেয়াল রাখুন এবং নিয়মিত খাবার খাওয়ার পর শিশুর কুলি করা অভ্যাস গড়ে তুলুন।